শপথ নিলেন পাকিস্তানের নতুন পার্লামেন্ট সদস্যরা

  বিশেষ প্রতিনিধি    29-02-2024    23
শপথ নিলেন পাকিস্তানের নতুন পার্লামেন্ট সদস্যরা

পাকিস্তানের নবনির্বাচিত জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী পরিষদে শপথ নিয়েছেন পার্লামেন্ট সদস্যরা। আজ বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শুরুতে পার্লামেন্টের নতুন সদস্যদের (এমপি) শপথ পড়ান স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে ডনের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী, পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের পর ২১ দিনের মধ্যেই নতুন সরকারের প্রথম অধিবেশন বসতে হয়। সে অনুযায়ী নতুন সরকারের প্রথম অধিবেশন বসার শেষ দিন হলো আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু তার আগে বেঁকে বসেছেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। তিনি বলেছেন, সংসদের নিম্নকক্ষ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি জাতীয় পরিষদে অধিবেশন ডাকতে পারেন না। তবে তার এই কথার পর পিএমএল-এন ও পিপিপি নেতারা প্রেসিডেন্টের ওপর বেশ চটেছেন। তবে পরবর্তীতে জাতীয় পরিষদের সচিব নিশ্চিত করেন, আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ১০টা থেকে জাতীয় অধিবেশন বসবে।

তবে তা শুরু হতে দেরী হয়। অনেক অপেক্ষার পর প্রায় দেড় ঘণ্টা বিলম্ব করে শুরু হয় অধিবেশন। জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই), জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজলুল (জেইউআই-এফ) এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্যরা।

প্রভাবশালী রাজনীতিকদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিএমএল-এনের প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি, মওলানা ফজলুর রহমান শপথ নিয়েছেন।

অধিবেশনে বিক্ষোভ করা হবে, এটা আগেই জানিয়েছিলেন পিটিআই-সমর্থিতরা। তাদের অভিযোগ, ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। এর প্রতিবাদে তাদের বিক্ষোভ ও হট্টগোল।

এ সময় স্পিকার তাদের শান্ত করে নিজ নিজ আসনে বসার আহ্বান জানান। পরে নতুন পার্লামেন্ট সদস্যদের সবাই শপথ নেন।

৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পাকিস্তানে সাধারণ পরিষদের নির্বাচনের ৬০ ঘণ্টা পর প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ১০২টি আসন, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৪টি এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪টি। এ ছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। অন্য দলগুলো পেয়েছে ১৭টি আসন। পাকিস্তানে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৩৪ আসন। কিন্তু কোনো দলই এই সংখ্যায় না পৌঁছানোয় জোট সরকার গঠনের পদক্ষেপ নেন দেশটির রাজনীতিবিদরা।

নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও ভোট কারচুপির অভিযোগ করে আসছে পিটিআই। দলটির দাবি, অনেক আসনে তাদের সমর্থিত প্রার্থীকে ফল পরিবর্তনের মাধ্যমে জোর করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ অধিবেশনের শুরতেও তারা বিক্ষোভ করল।

আন্তর্জাতিক-এর আরও খবর