আমরা মন্দিরের ঘণ্টা, যে পারে এসে বাজিয়ে চলে যায়

  বিশেষ প্রতিনিধি    16-02-2023    207
আমরা মন্দিরের ঘণ্টা, যে পারে এসে বাজিয়ে চলে যায়

প্রথমবারের মত সিনেমা প্রযোজনা করেছেন প্রেমিক যুগল বনি সেনগুপ্ত ও কৌশানি মুখার্জি। আগামীকাল ১৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে তাদের প্রযোজিত প্রথম ছবি ‘ডাল বাটি চুরমা’।

বাংলা সিনেমার ইন্ডাস্ট্রিতে সচরাচর নায়িকাদের প্রযোজক হিসেবে দেখা যায় না। সে জায়গা থেকে একরকম দায়িত্ব নিয়েই প্রযোজনায় নামলেন বনি-কোশানি। ছবির মুক্তির আগে প্রযোজক কৌশানী মুখোপাধ্যায় ভারতীয় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নানা কথা শেয়ার করেন।

ছবিটা সবার ভালো না-ও লাগতে পারে, সে বিষয়ে কি আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত? এমন প্রশ্নের জবাবে কৌশানি বলেন, হ্যাঁ, আমরা আসলে মন্দিরের ঘণ্টা, যে পারে এসে বাজিয়ে চলে যায়। পাবলিক ফিগার হওয়া মানেই অলিখিত ঘোষণা, যে যেমন খুশি কথা বলতে পারে। ট্রল করতে পারে। আমরা এগুলো নিয়েই সংসার করি। নেতিবাচক মন্তব্য এখন আমি উপভোগ করি।

অভিনেত্রী আরও বলেন, এটি বনি আর আমার প্রথম প্রযোজিত ছবি। এসময় দু’রকমের দায়িত্ব আমার কাঁধে ছিল। শুটিং চলাকালীন গুরুদায়িত্ব ছিল যে সেটে উপস্থিত সকলের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না সেটার খেয়াল রাখা! সবার চাহিদা ঠিক মতো পূরণ হচ্ছে কি না, দেখার দায়িত্ব ছিল আমার। শুধু তাই না, গানগুলো যেন ভাল হল, সেই দিকে বিশেষ নজর দিয়েছি আমি। হ্যাঁ, টাকা পয়সার বিষয়ে খুব বেশি গভীরে ঢুকিনি। তবে চেক আমার হাত দিয়েই দেওয়া হয়েছে। কারণ বাড়ির লক্ষ্মী হিসেবে এমনটাই রীতি আমাদের পরিবারে। এখন ছবির প্রচারের অনেকটাই আমি পরিকল্পনা করছি।

ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিকের বৈষম্যের বিষয়ে নতুন এই প্রযোজক বলেন, অন্যান্য প্রযোজনা সংস্থা কী করবে, তা নিয়ে সত্যিই আমি আত্মবিশ্বাসী নই। পারিশ্রমিক নিয়ে বৈষম্যটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে বেশি করে চোখে পড়ে। বলিউডে এই বৈষম্য থাকলেও, তাদের রোজগার এতটাই বেশি, তাই চোখে পড়ে না। তবে আমার প্রযোজনা সংস্থায় চেষ্টা করব, প্রত্যেকের প্রাপ্য পারিশ্রমিক যথাযথ দেওয়ার।

‘শুনেছি পিছনে অনেকে বলছেন, ‘দেখব কত দিন চালাতে পারে। দেখব ছবিটা কী দাঁড়ায়!’ এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমার মনে হয় ছবিটা দর্শকের ভাল লাগবে।’-যোগ করেন কৌশানি।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

বিনোদন-এর আরও খবর