শেষ মুহুর্তে উৎফুল্ল পর্যটন ব্যবসায়ীরা

  বিশেষ প্রতিনিধি    29-08-2022    160
শেষ মুহুর্তে উৎফুল্ল পর্যটন ব্যবসায়ীরা

ঈদের আগে কাংখিত পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমনে আসবেন কি না এ নিয়ে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মনে ছিল নানা সংশয়। কিন্তু ঈদের সপ্তম দিন এসে যে সংশয় আর নেই। শনিবার শতভাগ পর্যটকের উপস্থিতি দেখে উৎফুল্ল হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ীরা।

পর্যটন সংশ্লিষ্টদের দেয়া তথ্য মতে, শনিবার কক্সবাজার ভ্রমনে আসা পর্যটকের সংখ্যা দেড় লাখের কাছা-কাছি। এর আগে শুক্রবার পর্যন্ত সাড়ে ৩ লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন। কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী জানান, কক্সবাজারে পর্যটক ভ্রমণে আসা মানেই ব্যবসায়ীদের মঙ্গল। এখানে পর্যটক ভ্রমণে আসলে আবাসিক হোটেল-মোটেল, রেস্তোরা, পরিবহণ, সৈকতের কিটকট, ঘোড়া, চটপটি থেকে সকল স্তরের ব্যবসায়ীরা লাভবান হন। এক পরিসংখ্যা মতে এবার ঈদের দিন থেকে শনিবার পর্যন্ত ৭ দিনে ৫ লক্ষাধিক পর্যটক ভ্রমনে এসেছেন। যেখান থেকে কমপক্ষে সাড়ে ৬ শত কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

তিনি জানান, পর্যটন একটি সেবামুলক খাত। এটার জন্য ব্যবসায়ীদের সহনশীল হওয়া জরুরী। অন্যান্যবার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অধিক মুনাফা আদায়ের প্রতিযোগিতায় পর্যটকদের হয়রানীর অভিযোগ থাকলেও এবার তা ছিল না। ফলে পর্যটক এবং ব্যবসায়ী উভয় পক্ষ সন্তোষ লক্ষ্য করা গেছে। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার জানান, ঈদের আগে শুধুমাত্র ২০ শতাংশ কক্ষ বুকিং নিয়ে ব্যবসায়ীদের মনে কাংখিত পর্যটক আসবে কিনা এটা নিয়ে সংশয় তৈরী হয়। ঈদের প্রথম ২ দিন পর্যটকের উপস্থিতি ছিল এবারেই কম। কিন্তু তৃতীয় দিন থেকে পর্যটক বাড়তে শুরু করে। শনিবার সর্বোচ্চ দেড় লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন। এতে ব্যবসায়ীরা অনেক খুশি।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, যে সব পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন তাদের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে পুলিশ সর্বোচ্চ সর্তকতার সাথে কাজ করেছে। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কোন ধরণের অপরাধ সংঘটিত হয়নি। পর্যটকরা যখন যে অভিযোগ দিয়েছেন তা সমাধান করা হয়েছে দ্রুত। যতদিন পর্যটক আসবেন ততদিন সেবা প্রদান করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ।

পর্যটন-এর আরও খবর