যুবলীগের মহাসমাবেশ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

  বিশেষ প্রতিনিধি    11-11-2022    170
যুবলীগের মহাসমাবেশ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হয়েছে ঐতিহাসিক যুব সংগঠন যুবলীগের মহাসমাবেশ। প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠনটির আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৩৮ মিনিটে মহাসমাবেশে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে এবং জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী ও সমাবেশ উদ্বোধন করেন তিনি। মহাসমাবেশের সভাপতিত্ব করছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।

যুবলীগের এ সম্মেলন উপলক্ষে সমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকা-সড়কগুলোয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী।

ইতোমধ্যে জনসমুদ্র পরিণত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা। ঢাকার উত্তর-দক্ষিণ তো বটেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগঠনটির নেতাকর্মী-সমর্থকরা যোগ দিয়েছেন এ সম্মেলনে। বহুল আলোচিত এ সমাবেশ ঘিরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মাণ করা হয়েছে সুবিশাল প্যান্ডেল। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের পাশে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি যুবলীগের পতাকাও শোভা পাচ্ছে।

সম্মেলনে যোগ দিয়ে বক্তারা বলছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর শেখ ফজলুল হক মনি যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি যেমন দেশ সেবায় নিয়োজিত হয়েছিলেন, তেমনি শেখ হাসিনার ডাকে বর্তমান যুবলীগ দেশ সেবা করবে।

বিভিন্ন রঙের ক্যাপ, টি-শার্ট পরে যুবলীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। তাদের হাতে রয়েছে নানা রঙের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, বঙ্গবন্ধুর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় আকারের ছবি। ছোট ছোট মিছিল নিয়ে তারা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।

সকাল থেকেই সম্মেলস্থলে লোকজন আসতে শুরু করে। এত বেশি মানুষ আজকের সম্মেলনে হয়েছে- টিএসসি এলাকা থেকে শুরু করে আশপাশের পরিচিত সব এলাকার কানায় কানায় মানুষ পূর্ণ হয়ে আছে। পলাশী, আজিমপুর, বকশি বাজার, শহীদ মিনার এলাকায়, ঢামেক, গুলিস্তান, শাহবাগ, ফার্মগেট, নিউমার্কেট প্রায় সব এলাকায় যান চলাচল ধীরগতির হয়ে পড়েছে।

অনুষ্ঠান শুরুর আগে ‘শুভ শুভ শুভ দিন, যুবলীগের জন্ম দিন’, ‘শেখ হাসিনার সরকার, বাংলাদেশের দরকার’, সারা বাংলায় নেত্রী কী আছে, কোন সে নেত্রী, শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা’ শ্লোগানের মুখরিত হয়ে পড়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

কক্সবাজার জেলা থাকা আসা যুবলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন বলেন, তারা ১৫ হাজার মানুষ নিয়ে ঢাকা এসেছেন সম্মেলন সফল করতে।

বরিশাল থেকে আসা যুবলীগ নেতা আকরাম হোসেন বলেন, হাজার হাজার নেতাকর্মী বরিশাল থেকে বাস ও লঞ্চে ঢাকায় এসেছেন নিজেদের সমাবেশ সফল করতে।

সকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। পরশ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম যুব সংগঠন আওয়ামী যুবলীগ দেশের যেকোনো সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। রাষ্ট্রবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাত দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ১১ নভেম্বরের পর থেকে বিএনপি-জামাত ও তাদের দোসরদের যেকোনো ধরনের নৈরাজ্য মোকাবিলা করতে রাজপথে থাকবে।

যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছেন অভিনেতা রিয়াজ, ফেরদৌস ও চঞ্চল চৌধুরীসহ সংস্কৃতি অঙ্গনের আরও অনেকে।

‘হাওয়া’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল। এই সিনেমার ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মতো এই সমাবেশেও গানটি গেয়েছেন চঞ্চল। এছাড়াও সেখানে গান পরিবেশন করেছেন সংগীতশিল্পী পান্থ কানাই, মমতাজ বেগসহ আরও অনেকে।

এদিকে রিয়াজ, নিপুণ, ফেরদৌসদের কাছে পেয়ে অনেকেই সেলফি তুলছেন তাদের সঙ্গে। লাল সবুজ এবং হলুদ রঙের টিশার্ট ও ক্যাপ পরে ঢাকঢোল পিটিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিলিত হচ্ছেন যুবলীগ কর্মীরা।

মহাসমাবেশটি সফল করতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বর্ধিত সভা করে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয় যুবলীগ।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

জাতীয়-এর আরও খবর