সাম্প্রতিক সরকার আন্দোলনের পর থেকে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে বাংলাদেশে। গত তিন সপ্তাহে দেশে বিদ্যুতের মোট চাহিদা বেড়েছে ৭ শতাংশ।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে রয়টার্স। কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, বর্তমানে বাংলাদেশে দৈনিক বিদ্যুতের গড় চাহিদা ৩১৬ মিলিয়ন মেগাওয়াট, যা শতকরা হিসেবে তিন সপ্তাহ আগের চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু করেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা, কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সেই আন্দোলনে হামলা চালানোর পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে তা পরিণত হয় সরকারবিরোধী আন্দোলনে। ব্যাপক সেই আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা।
জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে আন্দোলন চুড়ান্ত পর্যায়ে ওঠার পর থেকে বন্ধ ছিল বাংলাদেশের অধিকাংশ তৈরি পোশাক (গার্মেন্ট) ও অন্যান্য কল-কারখানা।
বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারী দেশ। দেশে মোট বিদ্যুতের একটি বড় অংশের গ্রাহক গার্মেন্ট খাতের কারখানাগুলো।
তবে রয়টার্সের বিশ্লেষণ বলছে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির প্রধান কারণ সাধারণ ব্যাপক গরম এবং তার জেরে গ্রাহক ও গৃহস্থালী পর্যায়ে বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি। বাংলাদেশের থিংকট্যাঙ্ক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর অ্যানার্জি ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের শীর্ষ বিশ্লেষক শফিকুল আলম।
রয়টার্সকে তিনি বলেন, “বিগত বছরগুলোর তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালগুলো অনেক উষ্ণ এবং দীর্ঘ। ফলে আবাসিক পর্যায়ে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে তা আরও বাড়বে। এমনকি রাজনীতি স্থিতিশীল থাকুক কিংবা না থাকুক, চাহিদা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তার তেমন কোনো প্রভাব থাকবে না।”
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের কল-কারখানা খাতে বিদ্যুতের চাহিদা হ্রাসের প্রণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ২০১০ সালে বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ ব্যবহার করা হতো কারখানাগুলোতে। ২০১৯ সালে তা নেমে আসে ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশে।
কিন্তু একই সময়ে বাংলাদেশে সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে থাকে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশে সরকারপতন আন্দোলনের পর থেকে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা
সাম্প্রতিক সরকার আন্দোলনের পর থেকে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে বাংলাদেশে। গত তিন সপ্তাহে দেশে বিদ্যুতের মোট চাহিদা বেড়েছে ৭ শতাংশ।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে রয়টার্স। কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, বর্তমানে বাংলাদেশে দৈনিক বিদ্যুতের গড় চাহিদা ৩১৬ মিলিয়ন মেগাওয়াট, যা শতকরা হিসেবে তিন সপ্তাহ আগের চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু করেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা, কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সেই আন্দোলনে হামলা চালানোর পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে তা পরিণত হয় সরকারবিরোধী আন্দোলনে। ব্যাপক সেই আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা।
জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে আন্দোলন চুড়ান্ত পর্যায়ে ওঠার পর থেকে বন্ধ ছিল বাংলাদেশের অধিকাংশ তৈরি পোশাক (গার্মেন্ট) ও অন্যান্য কল-কারখানা।
বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারী দেশ। দেশে মোট বিদ্যুতের একটি বড় অংশের গ্রাহক গার্মেন্ট খাতের কারখানাগুলো।
তবে রয়টার্সের বিশ্লেষণ বলছে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির প্রধান কারণ সাধারণ ব্যাপক গরম এবং তার জেরে গ্রাহক ও গৃহস্থালী পর্যায়ে বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি। বাংলাদেশের থিংকট্যাঙ্ক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর অ্যানার্জি ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের শীর্ষ বিশ্লেষক শফিকুল আলম।
রয়টার্সকে তিনি বলেন, “বিগত বছরগুলোর তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালগুলো অনেক উষ্ণ এবং দীর্ঘ। ফলে আবাসিক পর্যায়ে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে তা আরও বাড়বে। এমনকি রাজনীতি স্থিতিশীল থাকুক কিংবা না থাকুক, চাহিদা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তার তেমন কোনো প্রভাব থাকবে না।”
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের কল-কারখানা খাতে বিদ্যুতের চাহিদা হ্রাসের প্রণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ২০১০ সালে বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ ব্যবহার করা হতো কারখানাগুলোতে। ২০১৯ সালে তা নেমে আসে ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশে।
কিন্তু একই সময়ে বাংলাদেশে সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে থাকে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক
এ এম জি ফেরদৌস
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
নাহিদুল ফাহিম
প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা
ইঞ্জি. মেহেদী হাসান |
প্রধান কার্যালয়
পূর্ব লিংক রোড, ঝিরংঝা, কক্সবাজার
মোবাইল
০১৮১৯-৫০২-৩২২
ই-মেইল beachnews24@gmail.com |
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: September 9, 2024, 2:35 am