কক্সবাজারে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ১৩৪ জন। যার মধ্যে ১ হাজার ৯৫৮ জনই রোহিঙ্গা। শতকরা হিসাবে যা মোট আক্রান্তের প্রায় ৯২ ভাগ। এই ছয় মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে চার রোহিঙ্গা। তবে ডেঙ্গুর প্রকোপ গত বছরের তুলনায় নিম্নমুখী।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিসংখ্যাবিদ পংকজ পাল মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কক্সবাজার সদর ও টেকনাফে নতুন করে ৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। এই নিয়ে বর্তমানে জেলার ৮টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছে ১২ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিসংখ্যানবিদের দেওয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২ হাজার ৭ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৯০৫ জন রোহিঙ্গা ও ১০২ জন ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানীয় মানুষ। এর বাইরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালসহ ৮টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১২৭ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭৪ জন স্থানীয় এবং ৫৩ জন রোহিঙ্গা। সর্বশেষ গত ২৩ জুন একজনের মৃত্যু নিয়ে এই ৬ মাসে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যারা সবাই রোহিঙ্গা।
আক্রান্ত বিবেচনায় ৫৭ শতাংশ পুরুষ ও ৪৩ শতাংশ নারী। এতে ০-৫ বছরের মধ্যে ৬ শতাংশ, ৬-১৮ বছরের মধ্যে ২১ শতাংশ, ১৯-৪০ বছরের মধ্যে ৬১ শতাংশ, ৪১-৬০ বছরের মধ্যে ১১ শতাংশ ও ৬০ বছরের উর্ধ্বে ১ শতাংশ মানুষ পাওয়া গেছে।
পরিসংখ্যাবিদ পংকজ পাল জানান, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় নিম্নমুখি বলা যায়। ২০২২ সালে কক্সবাজারে মোট ১৯ হাজার ২৩১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল। যার মধ্যে ১৫ হাজার ৬৩৬ জন রোহিঙ্গা ও ৩ হাজার ৫৮৫ জন স্থানীয় ছিলেন। গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যার মধ্যে রোহিঙ্গা ২৬ জন ও স্থানীয় ১৩ জন।
এই নিম্নমুখী অবস্থা আরও দুই মাস পর্যালোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এই কর্মকর্তা। তিনি জানান, আগামি আরও দুই মাস পরিসংখ্যান নিলে বোঝা যাবে জেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি কোন দিকে।
সিভিল সার্জন বিপাশ খীসা জানান, সম্ভাব্য ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো। একই সঙ্গে সচেতনতা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও তার আশপাশের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা, জমানো পানি থাকলে তা পরিষ্কার করার কাজ চলছে।
বিপাশ খীসা জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত রবিবার সচেতনতামুলক সভা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
সভায় মশক নিধন কর্মসূচি, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সচেতনতা বৃদ্ধি, পৌরসভাসহ সব উপজেলা-ইউনিয়নে পরিচ্ছন্নতা অভিযান মনিটরিং, চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ সংশ্লিস্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজারে ডেঙ্গু আক্রান্তের ৯২ শতাংশ রোহিঙ্গা
কক্সবাজারে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ১৩৪ জন। যার মধ্যে ১ হাজার ৯৫৮ জনই রোহিঙ্গা। শতকরা হিসাবে যা মোট আক্রান্তের প্রায় ৯২ ভাগ। এই ছয় মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে চার রোহিঙ্গা। তবে ডেঙ্গুর প্রকোপ গত বছরের তুলনায় নিম্নমুখী।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিসংখ্যাবিদ পংকজ পাল মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কক্সবাজার সদর ও টেকনাফে নতুন করে ৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। এই নিয়ে বর্তমানে জেলার ৮টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছে ১২ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিসংখ্যানবিদের দেওয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২ হাজার ৭ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৯০৫ জন রোহিঙ্গা ও ১০২ জন ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানীয় মানুষ। এর বাইরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালসহ ৮টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১২৭ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭৪ জন স্থানীয় এবং ৫৩ জন রোহিঙ্গা। সর্বশেষ গত ২৩ জুন একজনের মৃত্যু নিয়ে এই ৬ মাসে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যারা সবাই রোহিঙ্গা।
আক্রান্ত বিবেচনায় ৫৭ শতাংশ পুরুষ ও ৪৩ শতাংশ নারী। এতে ০-৫ বছরের মধ্যে ৬ শতাংশ, ৬-১৮ বছরের মধ্যে ২১ শতাংশ, ১৯-৪০ বছরের মধ্যে ৬১ শতাংশ, ৪১-৬০ বছরের মধ্যে ১১ শতাংশ ও ৬০ বছরের উর্ধ্বে ১ শতাংশ মানুষ পাওয়া গেছে।
পরিসংখ্যাবিদ পংকজ পাল জানান, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় নিম্নমুখি বলা যায়। ২০২২ সালে কক্সবাজারে মোট ১৯ হাজার ২৩১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল। যার মধ্যে ১৫ হাজার ৬৩৬ জন রোহিঙ্গা ও ৩ হাজার ৫৮৫ জন স্থানীয় ছিলেন। গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যার মধ্যে রোহিঙ্গা ২৬ জন ও স্থানীয় ১৩ জন।
এই নিম্নমুখী অবস্থা আরও দুই মাস পর্যালোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এই কর্মকর্তা। তিনি জানান, আগামি আরও দুই মাস পরিসংখ্যান নিলে বোঝা যাবে জেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি কোন দিকে।
সিভিল সার্জন বিপাশ খীসা জানান, সম্ভাব্য ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো। একই সঙ্গে সচেতনতা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও তার আশপাশের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা, জমানো পানি থাকলে তা পরিষ্কার করার কাজ চলছে।
বিপাশ খীসা জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত রবিবার সচেতনতামুলক সভা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
সভায় মশক নিধন কর্মসূচি, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সচেতনতা বৃদ্ধি, পৌরসভাসহ সব উপজেলা-ইউনিয়নে পরিচ্ছন্নতা অভিযান মনিটরিং, চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ সংশ্লিস্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক
এ এম জি ফেরদৌস
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
নাহিদুল ফাহিম
প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা
ইঞ্জি. মেহেদী হাসান |
প্রধান কার্যালয়
পূর্ব লিংক রোড, ঝিরংঝা, কক্সবাজার
মোবাইল
০১৮১৯-৫০২-৩২২
ই-মেইল beachnews24@gmail.com |
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: October 6, 2024, 4:35 pm