সিটি নির্বাচনে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা মাঠ ছাড়তে নারাজ বিএনপির তৃণমূল

সিটি নির্বাচন : পাঁচ সিটিতে কাউন্সিলর পদে প্রায় দুইশ নেতাকর্মী মাঠে * চূড়ান্ত তালিকা তৈরির পর সাংগঠনিক ব্যবস্থা

  বিশেষ প্রতিনিধি    09-05-2023    90
সিটি নির্বাচনে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা মাঠ ছাড়তে নারাজ বিএনপির তৃণমূল

বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির নেতারা। তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত আমলে না নিয়ে পুরোদমে নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু করেছেন দলের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এ পদে দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে না-এমন অজুহাতে নির্বাচনি মাঠ ছাড়তে নারাজ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে তারা ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা নির্বাচনে অংশ নেবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তবে কেউ মেয়র কিংবা কাউন্সিলর প্রার্থী হতে চাইলে প্রথমে তাকে দল থেকে বোঝানো হবে। বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনে আছে। আন্দোলনের মাঝপথে নির্বাচনে প্রার্থী হলে দলের কী ক্ষতি হতে পারে, আগে কে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তা সম্ভাব্য প্রার্থীদের বোঝানো হবে। এরপরও দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে দলের একটি অংশ মনে করে, স্থানীয় রাজনীতি, পারিবারিক প্রভাবসহ নানা কারণে অনেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আগে পুরো বিষয়টি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। যেসব নেতার জয়ের সম্ভাবনা আছে, তাদের ক্ষেত্রে হাইকমান্ডের কিছুটা নমনীয় হওয়া উচিত। তবে যারা ক্ষমতাসীন দলের ইন্ধনে প্রার্থী হয়েছেন, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া উচিত হবে না।

জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যুগান্তরকে বলেন, এ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সে অনুযায়ী পাঁচ সিটি নির্বাচনে মেয়র কিংবা কাউন্সিলর কোথাও আমাদের দলের কোনো অংশগ্রহণ থাকবে না।

তিনি বলেন, শুধু নির্বাচন বর্জন নয়, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা ভোট করবেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাঁচ সিটিতে পদধারী যেসব নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এরপর ওইসব নেতার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রাক্কালে যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবে না, তাদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া না হলে দলের নেতাকর্মীদের কাছে ভুল বার্তা যাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড বিএনপিসহ অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সোমবার ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, এ সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ডে অন্তত ২৪ নেতা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাকি চার সিটির মনোনয়ন জমা দেওয়া এখনো শুরু হয়নি। তবে এসব সিটিতে বিএনপির অসংখ্য নেতা কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে মাঠে আছেন। শুরু করেছেন প্রচারও। পাড়া-মহল্লায় শোভা পাচ্ছে তাদের পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানার ও বিলবোর্ড। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ভোটারদের কাছে দোয়া চাইছেন। অনেক প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রচার চালাচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশন ৩ এপ্রিল ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে। ২৫ মে গাজীপুর, ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

তফশিল অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২৭ এপ্রিল, বাছাই ৩০ এপ্রিল এবং ৮ মে ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এছাড়া খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে, ২৫ মের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। রাজশাহী ও সিলেটে ২৩ মে পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে, বাছাই ২৫ মে এবং ১ জুনের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।

গাজীপুর কাউন্সিলর পদে ভোটে বিএনপির অন্তত ২৪ নেতা : এ সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড ৫৭টি। নারীদের জন্য সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে ১৯টি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় গাজীপুর সিটির একটি ওয়ার্ডে বিএনপির এক নেতা জয়ী হওয়ার পথে। একই সিটির আরেক ওয়ার্ডে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পাশাপাশি বিএনপির দুজন মুখোমুখি হয়েছেন ভোটের লড়াইয়ে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে বিএনপির অন্তত ২৪ জন নেতাকর্মী কাউন্সিলর প্রার্থী হিসাবে মাঠে রয়েছেন। এছাড়া মেয়র পদে ভোট করছেন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালী এক নেতার ছেলে।

বাছাই শেষে ৫৭ ওয়ার্ডে ২৭৩ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকেছেন। তাদের মধ্যে মহানগর, থানা, ওয়ার্ড বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক পদধারী ৩০ জনের নাম পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ অর্থসম্পদের মালিক হওয়ায় আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক কাউন্সিলর প্রার্থীর উদয় হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। এর সুবিধা পাবেন বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এছাড়া মহানগর শহরকেন্দ্রিক যে কয়টি ওয়ার্ড রয়েছে, এর প্রায় সবকটিতেই রয়েছে বিএনপি সমর্থক কাউন্সিলর প্রার্থীদের আধিক্য। তাদের অনেকেই বর্তমান কাউন্সিলর। আধিপত্য ও জনপ্রিয়তা ধরে রাখতেই তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন।

এই সারিতে রয়েছেন মহানগরের স্বাগতিক ওয়ার্ড (২৮ নম্বর) সদর মেট্রো থানা বিএনপির আহ্বায়ক ও বর্তমান কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূঁইয়া। পার্শ্ববর্তী ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বর্তমান কাউন্সির মো. জাবেদ আলী জবে। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বর্তমান কাউন্সিলর হান্নান মিয়া হান্নু। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছেন বিএনপি নেতা ও বর্তমান কাউন্সিলর মো. মজিবুর রহমান এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচন করছেন মেট্রো সদর থানা বিএনপি নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর মাহবুবুর রশীদ খান শিপু।

১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন আলম, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর ও গাজীপুর মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক ফয়সাল আহমেদ সরকার, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও বাসন থানা বিএনপির সদস্য সচিব মোছলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসা, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রাতা, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা তানভীর আহম্মেদ, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলাম, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা সবদের হাসান এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থক খোরশেদ আলম। মহানগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক জিএস ও মহানগর বিএনপি নেতা নাসিমুল ইসলাম মনির ও বিএনপি নেতা সাবেক কাউন্সিলর খায়রুল আলম, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছেন বিএনপি সমর্থক সামসুল আলম অরুণ, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থক সাবেক কাউন্সিলর রফিকুজ্জামান, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে গাছা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি মাহফুজুর রহমান, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল সরকার, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে ওই ওয়ার্ডের বিএনপি সভাপতি কামরুজ্জামন, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে পূবাইল থানা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. নজরুল ইসলাম বিকি, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে পূবাইল থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর সুলতান উদ্দিন আহমেদ, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফি উদ্দিন সফি, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে যুবদল নেতা মোবারক হোসেন মিলন, ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা মনির হোসেন, ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি মনির হোসেন এবং ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা আবুল হাশেম ও ওই ওয়ার্ড সভাপতি জহির উদ্দিন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে ৩৩, ৩৫, ৩৬, ৩৯, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭, ৫২, ৫৩, ৫৪ ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির কোনো নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।

গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বাসন থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি বশির আহাম্মেদ বাচ্চু যুগান্তরকে বলেন, যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তারা প্রায় সবাই সিটির বর্তমান বা সাবেক কাউন্সিলর এবং এলাকায় তারা অনেক জনপ্রিয়। তাদের জনপ্রিয়তা আর কর্মী-সমর্থকদের ধরে রাখতে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

বরিশালে ৩০-৩৫ নেতা মাঠে : দলীয়ভাবে সিটি করপোরেশনের ভোট বর্জন করলেও বরিশালে মাঠ ছাড়ছেন না বিএনপির অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী। পদধারী ও পদছাড়া ৩০ থেকে ৩৫ জন নেতা ও সমর্থক নির্বাচনি মাঠে রয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন একাধিকবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। পদধারীদের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ২৪নং ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ফিরোজ আহমেদ, ৯নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, ১৯নং ওয়ার্ডে যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শাহ আমিনুল ইসলাম আমিন, ২২নং ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর আহ্বায়ক কমিটির ১নং সদস্য আ ন ম সাইফুল আহসান আজিম, ৫নং ওয়ার্ডে ৩ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর বিএনপি নেতা মাইনুল হক।

রাজশাহীতে বিএনপির অর্ধশতাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী মাঠে, আছে জামায়াতও : কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অমান্য করে রাজশাহী সিটির ওয়ার্ড পার্যায়ের বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কোমর বেঁধে সিটি নির্বাচনে নেমে পড়েছেন। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, রাজশাহী সিটির অন্তত ২৫টি ওয়ার্ডে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী কাউন্সিলর পদে ভোট করবেন। এদিকে শুধু বিএনপিই নয়, তাদের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামীও রাজশাহী সিটির ৩৫ ওয়ার্ডের মধ্যে অন্তত সাতটিতে প্রার্থী দিচ্ছেন। নগরীর ২, ২৬, ২৮, ২৯ ও ৩০ নম্বরসহ রাসিকের সাত ওয়ার্ডে প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর জামায়াতের শূরা সদস্য মাজেদ আলী।

জানা গেছে, নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বিএনপি নেতা মাহবুব সাঈদ টুকু। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ শুরু করেছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তাজউদ্দিন আহমেদ সেন্টু। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটে অংশ নিচ্ছেন বদিউজ্জামান বদি। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সোহরাব হোসেন এবং যুবদল নেতা আতাউর রহমান নির্বাচনে নামতে প্রস্তুতি নিয়েছেন। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি আজিজুর রহমানের ছেলে রেজাউল করিম নান্নুও এখানে নির্বাচন করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

অন্যদিকে রাসিকের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনে আসছেন বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর দিলদার হোসেন। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আবদুস সোবহান লিটন। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে টানা চারবারের কাউন্সিলর শাহমখদুম থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি বেলাল আহমেদ এবারও নির্বাচনে লড়তে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম পচা। তিনি যুবদলের সাবেক নেতা। তিনিও এবার ভোটে অংশ নিচ্ছেন। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাবেক কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টিটো। তিনি রাজশাহী মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে চারবারের কাউন্সিলর মহানগর বিএনপির সহসভাপতি তরিকুল আলম পল্টু। এবারও তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ভোটে অংশ নিচ্ছেন।

জানা গেছে, ২০০২ সাল থেকে টানা চারবারের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনোয়ারুল আমিন আজব। তিনি মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। তিনিও এবার মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। এছাড়া ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আশরাফুল হোসেন বাচ্চুও মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। রাজশাহী সিটির সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুন নাহার ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলিমা খাতুন বেলী। তারা দুজনই এবার নির্বাচন করছেন। বেলী আগেই মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। সামসুন নাহার তুলেছেন রোববার।

রাজশাহী সিটি নির্বাচনে বিএনপি নেতাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী বলেন, ‘যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তারা মনে মনে আওয়ামী লীগ। তারা বিএনপির লোক হতে পারে না। আমরা তাদের ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।

এছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪২টি সাধারণ ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা ও সমর্থক কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। খুলনা সিটিতেও ভোটের মাঠে আছেন বিএনপি সমর্থিত বর্তমান ৪ কাউন্সিলরসহ অন্তত ২০ নেতাকর্মী।

জাতীয়-এর আরও খবর