কান্না থামছে না সৌদিতে মারা যাওয়া সদ্যবিবাহিত রনির স্ত্রীর

  বিশেষ প্রতিনিধি    30-03-2023    116
কান্না থামছে না সৌদিতে মারা যাওয়া সদ্যবিবাহিত রনির স্ত্রীর

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৮ বাংলাদেশিদের একজন ইমাম হোসেন রনি (৪০)। দুই মাসের ছুটিতে দেশে ফেরেন গত ফেব্রুয়ারিতে। ৭ ফেব্রুয়ারি শিমু আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় রনির।

গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানার বড় দেওরা এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ইমাম হাসান রনি। ২০১২ সালে প্রথম বিয়ে করেছিলেন। বনিবনা না হওয়ায় প্রথম স্ত্রী ২০১৭ সালে ছেলে ইসমাইল হোসেনকে রেখে চলে যায়। নতুন করে আবারও সংসার সাজাতে গেল মাসে বিয়ে করেছিলেন রনি।

গত ২৫ মার্চ সৌদির উদ্দেশে দেশত্যাগ করেন। সৌদি আরবের আবা এলাকার এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সেখান থেকেই ওমরাহ পালনের জন্য যাওয়ার পথে ২৭ মার্চ আসির এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ বাংলাদেশির সঙ্গে তিনিও প্রাণ হারান।

বুধবার সকালে রনিদের বাসায় গিয়ে দেখা যায় তার সদ্যবিবাহিত স্ত্রীর কান্না থামছে না। তিনি বলছিলেন, ‘আমার স্বামীকে তোমরা এনে দাও। আমি তাকে নিয়ে থাকতে চাই। আমি তো এতো টাকা-পয়সা চাইনি। তোমরা আমার স্বামীকে এনে দাও। আমি তাকে ছাড়া বাঁচব না।’

রনির এক ভাই জসিম উদ্দিন বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর সদরে হলেও টঙ্গীর ফকির মার্কেট এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করেছেন আমাদের বাবা আব্দুল লতিফ।

জসিম বলেন, ২৫ মার্চ সৌদি আরব যাওয়ার জন্য ভাইকে বিমানবন্দরে দিয়ে আসি। ভালোভাবে পৌঁছেও যায়। ওমরাহ পালন শেষে ১ এপ্রিল কাজে যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু ২৭ তারিখ সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেল। এখন পুরো পরিবারের চোখে অন্ধকার।

ছেলে হারিয়ে বাকরূদ্ধ রনির বাবা আব্দুল লতিফ। মাঝে মধ্যে প্রলাপ বকছেন। আবার হুশ ফিরলেই ছেলেকে দেখার আকুতি জানাচ্ছেন।

তিনি জানালেন, ছেলের প্রবাসে অর্জিত টাকা দিয়ে বাড়ি করেছেন। তার টাকাতে সংসারের চাকা সচল ছিল। রনি মারা যাওয়ায় সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ ভর করেছে

সারাদেশ-এর আরও খবর