নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ১১ বিজিবির সাড়াশি অভিযানে ১৭২টি মিয়ানমারের গরু জব্দ

  বিশেষ প্রতিনিধি    19-03-2023    185
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ১১ বিজিবির সাড়াশি অভিযানে ১৭২টি মিয়ানমারের গরু জব্দ

বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) সীমান্তের জারুলিয়াছড়ি ,আশারতলী,ফুলতলী এলাকায় সাড়াশি অভিযান চালিয়ে ১৭২ টি মায়ানমার হয়ে অবৈধ পথে আসা থাইল্যান্ডের ব্রাহামা জাতের গরু জব্দ করে । ১১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) সূত্র জানায় , (০৭ মার্চ হইতে ১৮ মার্চ) পর্যন্ত ২০২৩ সর্বমোট ১৭২ টি মায়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ির জারুলিয়া ছড়ি ,আশারতলী,ফুলতলী এলাকায় এই সব অবৈধ গরু গুলিকে বিজিবি সাড়াশি অভিযানে জব্দ করে ।

সীমান্তে সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ , অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার রোধ ও অভ্যন্তরীন সন্ত্রাস দমনে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নির্ঘুম রাতজেগে দেশ মাতৃকার সেবায় নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি)র সদস্যগণ সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থেকে গবাদিপশুসহ সকল ধরণের চোরাচালান প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিতকতায় মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, রিজিয়ন কমান্ডার, কক্সবাজার রিজিয়ন, সেক্টর কমান্ডার, রামু এবং অধিনায়ক, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি ) র বলিষ্ঠ দিক নির্দেশনায় গত দুই সপ্তাহে (০৭ মার্চ হতে ১৮ মার্চ ) পর্যন্ত সর্বমোট ১৭২ টি বার্মিজ গররু জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।

সীমান্ত পথে গরু পাচার ও চোরাচালান রোধকল্পে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) কর্তৃক কঠোর নজরদারী ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ মায়ানমার থেকে আসা গরু, মাদকদ্রব্য পাচার, অস্ত্র, অবৈধ কাঠ পাচার/পরিবহন, অন্যান্য যে কোন ধরনের অবৈধ পণ্য সামগ্রী পাচার এবং অত্র এলাকায় যেকোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে বিজিবি’র এ ধরনের কার্যক্রম ও তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ,সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে হাজার হাজার অবৈধ গরু স্থানীয় মাদক ও চোরাকারবারিদের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসার কারণে স্থানীয় খামারিদের মাঝে ব্যাপক র্দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়ে।

বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১বর্ডার গার্ড (বিজিবি)র অধিনায়কে দিকনির্দেশনাই অবৈধ গরুর বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যাওয়াতে স্থানীয় মাঝে কিছুটা স্বস্থি ফিরে এসেছে।

জানা যায় ,মায়ানমার থেকে সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ির ৫টি পয়েন্ট দিয়ে চোরাই পথে প্রতিদিন অবৈধ গরু আসছে দেদারসে । চোরাচালানকারী জনপ্রতিনিধি ,ইউপি সদস্য, চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুবিধাবাদি সদস্যসহ মিলে গররু চোরাচালান নিয়ে তৈরি করেছে বিশাল সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেট দিয়ে চলছে জমজমাট মায়ানমারের গররু ব্যবসার যেন মহৎসব চলছে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা ভাগাভাগি করে নিচ্ছে ওই সিন্ডিকেটের সদস্যরা। এতে সরকার প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

মায়ানমার সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির চলমান সংঘাতকে কেন্দ্র করে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ব্যাপকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাদক ও গরু চোরাকারবারির শতাধিক চক্র । অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, নাইক্ষ্যংছড়ির পাঁচটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অবৈধভাবে গরু আনছে এ চক্রগুলো। চক্রগুলো সংঘাত শুরু পর থেকে অবাধে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসছে চোরাই গরু। প্রতিদিন ৪’শ থেকে ৫’শ চোরাই গরু আসছে বাংলাদেশে। এসব চোরাই গরু আসায় স্থানীয় খামারিরা চরম ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। এই নিয়ে সীমান্তে পাহারায় নিয়োজিত বিজিবির তৎপরতা বৃদ্ধি করতে সচেতন মহল জোর দাবী জানিয়েছেন ।

সারাদেশ-এর আরও খবর