মির্জা ফখরুলের ভূমিকা নিয়ে বিএনপিতে সন্দেহ

  বিশেষ প্রতিনিধি    17-02-2023    199
মির্জা ফখরুলের ভূমিকা নিয়ে বিএনপিতে সন্দেহ

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না পারলেও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠিকই সিঙ্গাপুর গেছেন। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বিএনপি নেতাকর্মীরা। এতে বিএনপিতে তার ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

বিএনপি নেতারা বলেন, দল এখন ধারাবাহিক কর্মসূচি দিচ্ছে। এসব কর্মসূচির নির্দেশনা আসে তারেক রহমানের কাছে থেকে। মির্জা ফখরুল সেই কর্মসূচি ঘোষণা ও সমন্বয় করেন। তিনিই তারেক রহমানের সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। কিন্তু মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পর দলের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না। বিএনপির পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করেও লাভ হচ্ছে না। ফলে বিএনপির চলমান কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় মির্জা ফখরুলের দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডে তাকে নিয়ে সন্দেহ বাড়ছে।

তারা আরো বলেন, এবারই প্রথম না। এর আগেও মির্জা ফখরুলের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন উঠেছে। গত ১০ ডিসেম্বরের পর থেকেই তার অবস্থান রহস্যজনকভাবে পাল্টাতে থাকে। ৮ ডিসেম্বর রাতে তিনি গ্রেফতার হন, ৯ জানুয়ারি কারামুক্ত হন। ১৬ জানুয়ারি সারাদেশে বিএনপির সমাবেশের আগে হঠাৎ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেই সময় তার হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছিল। এখন কর্মসূচির মধ্যেই হঠাৎ মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুর যাওয়ায় সন্দেহ বাড়ছে।

বিএনপির কিছু নেতা বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বারবার এমন রহস্যময় আচরণ করেছেন। ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগেও বিএনপির চলমান কর্মসূচির মাঝে তিনি চিকিৎসার অজুহাতে বিদেশে গেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সালে মির্জা ফখরুল চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার অজুহাতে বিএনপির কর্মসূচি মাঝপথে ফেলে সিঙ্গাপুর গেছেন। এতে দলে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বারবার সন্দেহজনক আচরণের কারণে দল ও নেতাকর্মীদের আস্থা হারাচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে তিনি অচিরেই বিএনপির শীর্ষস্থানীয় পদ হারাবেন।

জাতীয়-এর আরও খবর