অর্থনৈতিক অঞ্চলে বদলে যাবে মহেশখালী

  বিশেষ প্রতিনিধি    07-02-2023    232
অর্থনৈতিক অঞ্চলে বদলে যাবে মহেশখালী

দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে মহেশখালীতে। একে একে চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। ৫ম অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে টেকনাফের সাবরাংয়ে। সরকার আগামী ১৫ বছরে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহন করেছে এরই ধারাবাহিতকায় দেশের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হবে এই প্রকল্প।

দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে কক্সবাজারের মহেশখালীতে। গভীর সমুদ্র বন্দর ও কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ঘিরে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। ইতোমধ্যে মহেশখালীতে ১১ হাজার ৭২৫ একর জমি অধিগ্রহনের কাজ চুড়ান্ত পর্যায়ে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কক্সবাজার সদর থেকে সড়কপথে ৪০ কিলোমিটার ও নৌপথে ৪ কিলোমিটার দূরে মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী,পাহাড় ঠাকুরতলা ও গোরকঘাটা মৌজা জুড়ে ১ হাজার ৪৩৮ একর এলাকায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল-১, মহেশখালীর উত্তর নলবিলা মৌজার ৮২৭ একর জমি জুড়ে মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-২, মহেশখালীর ধলঘাটা মৌজার ৬৭৬ একর এলাকাজুড়ে মহেশখালী-৩ ও হামিদেরদ্বিয়া, কুতুবজোম ও ঘটিভাঙ্গা মৌজার ৮ হাজার ৭৮৪ একর এলাকাজুড়ে এ অঞ্চল-৪। এসব অঞ্চল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর মতে; এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে শুধু মহেশখালীর নয়, পুরো জেলার অর্থনীতির চিত্র বদলে যাবে।

কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ জানান, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক। এই প্রকল্পের কারণে এলাকার মানুষের আর্থিক অবস্থার আরো উন্নতি হবে। পুরো হেশখালী দেশের একটি গুরুত্বপুর্ণ উপজেলা হিসেবে বিবেচিত হবে। মানুষের পেশার পরিবর্তন হলেও জীবনযাত্রার মান আরো উন্নতি হবে। এলাকার বেকার সমস্যা দুর হওয়ার পাশাপাশি এলাকায় আরো উন্নয়ন হবে। আশাকরি প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত মেগা প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।

কুতুবজুম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকন জানান, ঘটিভাঙ্গায় যদি বিভিন্ন শিল্প কারখানা গড়ে উঠে তা হবে কুতুবজোমবাসীর জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। এটি প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আমরা এই প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।

অভিন্ন কথা বলেছেন কুতুবজুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ শেখ কামাল। তবে তিনি এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি ইকো-টুরিজমের জন্য সোনাদিয়া থেকে উচ্ছেদকৃত সকল পরিবারকে পুর্নবাসনের আগে যেন উচ্ছেদ করা না হয়। উচ্ছেদের আগে এসব পরিবারের জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করতে হবে।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, এখন পর্যন্ত সম্ভাব্যতা যাচাই থেকে শুরু করে আরো অগ্রগতি আছে এবং কার্যক্রম চলমান আছে এমন অঞ্চল ৪৮টি। তৎমধ্যে মহেশখালীর ৪টি অন্যতম। অর্থনৈতিক অঞ্চল হতে সময় লাগে, রাতারাতি হয় না। অনেক ধাপ পার হতে হয়। কক্সবাজার ফ্রি ট্রেড জোন নামের এই অঞ্চলটি হবে আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল।

মহেশখালী কুতুবদিয়ার আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, দ্বীপবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক বলেই এসব বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি অনুমোদন দিয়েছেন। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি স্থানীয়দের চাকরীক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া ও তাদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে টেকনিক্যাল কলেজ স্থাপন করা হচ্ছে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চল দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখবে।

সারাদেশ-এর আরও খবর