প্রায় ভরা গ্যালারি। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ দেখতে হাজির মিরপুর শের-ই-বাংলায়। সংখ্যাটা দশ হাজারে গিয়ে ঠেকতে পারে। কিন্তু পয়সা উসুল শো দেখতে পেরেছেন কিনা এমন প্রশ্নে বিরক্তই হলেন সাভার থেকে আসা সাব্বির হোসেন। বরং বন্ধু কাজলকে নিয়ে হাসি তামাশাই যেন করলেন।
মাঠের উত্তাপহীন ক্রিকেটই তাদের উত্তেজনায় পানি ঢেলে দিয়েছে। সিলেট স্ট্রাইকার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ম্যাচ শেষ নির্ধারিত সময়ের ৩৫ মিনিট আগে! চট্টগ্রামকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ৮৯ রানে আটকে রাখে সিলেট। জবাবে তারা ম্যাচ জিতে নেয় ৪৫ বল আগে, ৮ উইকেট হাতে রেখে।
বিপিএলের নতুন আসর। প্রথম ম্যাচ। সতেজ উইকেট। কিন্তু ২২ গজে সেই পুরোনো চিত্র। এজন্য অবশ্য উইকেটকে খুব বেশি দোষারোপ করাও যাবে না। চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরাই যে তালগোল পাকানো ব্যাটিং করলেন।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ৮৯ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। গুমোট আকাশের ফাঁক দিয়ে দুপুর গড়াতেই দেখা মেলে ঝলমলে সূর্য্যের। সেই তেজোদ্বীপ্ত সূর্য্যের মতোই উদ্দীপ্ত ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সের বোলিং। সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফি একাদশ সাজিয়েছিলেন একেবারে কন্ডিশন বুঝে।
তিনিসহ একাদশে চার পেসার। দুই বিদেশি মোহাম্মদ আমির ও থিসারা পেরেরার সঙ্গে স্থানীয় রেজাউর রহমান রাজা। চতুষ্টয়ের আক্রমণে স্রেফ পুড়লো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল দুপুর আড়াইটায়। কিন্তু দুই ঘণ্টা আগে হঠাৎ সময়ের পরিবর্তন। ম্যাচ শুরু দুপুর দুইটায়। আধাঘণ্টা এগিয়ে আসা ম্যাচের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে চট্টগ্রাম। পাওয়ার প্লে’তে ২১ রানে নেই ২ উইকেট।
মাশরাফির প্রথম দুই ওভার ছিল একেবারে নিয়ন্ত্রিত। প্রথম ওভারে ১ রান দেওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারে দেন ১০ রান। সঙ্গে আমির, থিসারার আক্রমণের জবাব ছিল না চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানদের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ক্রমেই লড়াই থেকে ছিটকে যেতে থাকে তারা।
বল হাতে সিলেটের সেরা ছিলেন রাজা। ৪ ওভারে ১৪ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। নিজের বোলিং স্পেলে কোনো বাউন্ডারি হজম করেননি এ পেসার। ডট বল ছিল ১২টি। এবারের আসরের প্রথম ম্যাচসেরার পুরস্কারটা পেয়েছেন দ্রুততম এ পেসারই।
আট মাস পর মাঠে ফিরে মাশরাফির বোলিংও ছিল আঁটসাঁট। ১৮ রানে পেয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়ের উইকেট। তার বোলিং স্পেলে ছিল ১৩টি ডট বল। এছাড়া আমিরের বোলিংয়ের কোনো উত্তর ছিল না ব্যাটসম্যানদের। ৪ ওভারে ১ মেডেনে কেবল ৭ রান দিয়েছেন। তার ২৪ বলের ২০টি ছিল ডট।
চট্টগ্রামের ব্যাটিংয়ে ভরসা ছিলেন আফিফ হোসেন। কিন্তু ২৩ বলে ২৫ রানের বেশি করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন আল-আমিন জুনিয়র।
লক্ষ্য ছিল মামুলি। সিলেটের ব্যাটিং ছিল আক্রমণাত্মক। তাতে অতি সহজেই জয়ের বন্দরে নোঙর গড়ে তারা। শুরুতে পেসার মৃত্যুঞ্জয় সিলেটের কলিন আকারম্যানকে ১ রানে ফেরান। দ্বিতীয় উইকেটে জাকির ও শান্ত ৬২ রানের জুটি গড়েন। তাতে শুরুর ধাক্কা সামলে জবাব দেয় সিলেট। জাকির ২১ বলে ২৭ রান করে ফেরেন পুস্পকুমারার ঘূর্ণিতে। জয়ের বাকি কাজ সারেন শান্ত ও মুশফিক। ৪১ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪৩ রান করেন শান্ত। জয়সূচক রান নেওয়া মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ৬ রান।
পুঁজিতে বড় কোনো সংগ্রহ ছিল না। চট্টগ্রামের বোলিংও তেমন ভালো হয়নি। ১৩ রানই তারা দিয়েছে অতিরিক্ত। তাতে জয়টাও আরও সহজ হয়ে যায় মাশরাফির দলের জন্য। ২ পয়েন্ট নিয়ে এবারের লিগের যাত্রা শুভ করলো তারা।
উত্তাপহীন ম্যাচে মাশরাফির সিলেটের জয়ের হাসি
প্রায় ভরা গ্যালারি। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ দেখতে হাজির মিরপুর শের-ই-বাংলায়। সংখ্যাটা দশ হাজারে গিয়ে ঠেকতে পারে। কিন্তু পয়সা উসুল শো দেখতে পেরেছেন কিনা এমন প্রশ্নে বিরক্তই হলেন সাভার থেকে আসা সাব্বির হোসেন। বরং বন্ধু কাজলকে নিয়ে হাসি তামাশাই যেন করলেন।
মাঠের উত্তাপহীন ক্রিকেটই তাদের উত্তেজনায় পানি ঢেলে দিয়েছে। সিলেট স্ট্রাইকার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ম্যাচ শেষ নির্ধারিত সময়ের ৩৫ মিনিট আগে! চট্টগ্রামকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ৮৯ রানে আটকে রাখে সিলেট। জবাবে তারা ম্যাচ জিতে নেয় ৪৫ বল আগে, ৮ উইকেট হাতে রেখে।
বিপিএলের নতুন আসর। প্রথম ম্যাচ। সতেজ উইকেট। কিন্তু ২২ গজে সেই পুরোনো চিত্র। এজন্য অবশ্য উইকেটকে খুব বেশি দোষারোপ করাও যাবে না। চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরাই যে তালগোল পাকানো ব্যাটিং করলেন।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ৮৯ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। গুমোট আকাশের ফাঁক দিয়ে দুপুর গড়াতেই দেখা মেলে ঝলমলে সূর্য্যের। সেই তেজোদ্বীপ্ত সূর্য্যের মতোই উদ্দীপ্ত ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সের বোলিং। সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফি একাদশ সাজিয়েছিলেন একেবারে কন্ডিশন বুঝে।
তিনিসহ একাদশে চার পেসার। দুই বিদেশি মোহাম্মদ আমির ও থিসারা পেরেরার সঙ্গে স্থানীয় রেজাউর রহমান রাজা। চতুষ্টয়ের আক্রমণে স্রেফ পুড়লো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল দুপুর আড়াইটায়। কিন্তু দুই ঘণ্টা আগে হঠাৎ সময়ের পরিবর্তন। ম্যাচ শুরু দুপুর দুইটায়। আধাঘণ্টা এগিয়ে আসা ম্যাচের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে চট্টগ্রাম। পাওয়ার প্লে’তে ২১ রানে নেই ২ উইকেট।
মাশরাফির প্রথম দুই ওভার ছিল একেবারে নিয়ন্ত্রিত। প্রথম ওভারে ১ রান দেওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারে দেন ১০ রান। সঙ্গে আমির, থিসারার আক্রমণের জবাব ছিল না চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানদের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ক্রমেই লড়াই থেকে ছিটকে যেতে থাকে তারা।
বল হাতে সিলেটের সেরা ছিলেন রাজা। ৪ ওভারে ১৪ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। নিজের বোলিং স্পেলে কোনো বাউন্ডারি হজম করেননি এ পেসার। ডট বল ছিল ১২টি। এবারের আসরের প্রথম ম্যাচসেরার পুরস্কারটা পেয়েছেন দ্রুততম এ পেসারই।
আট মাস পর মাঠে ফিরে মাশরাফির বোলিংও ছিল আঁটসাঁট। ১৮ রানে পেয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়ের উইকেট। তার বোলিং স্পেলে ছিল ১৩টি ডট বল। এছাড়া আমিরের বোলিংয়ের কোনো উত্তর ছিল না ব্যাটসম্যানদের। ৪ ওভারে ১ মেডেনে কেবল ৭ রান দিয়েছেন। তার ২৪ বলের ২০টি ছিল ডট।
চট্টগ্রামের ব্যাটিংয়ে ভরসা ছিলেন আফিফ হোসেন। কিন্তু ২৩ বলে ২৫ রানের বেশি করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন আল-আমিন জুনিয়র।
লক্ষ্য ছিল মামুলি। সিলেটের ব্যাটিং ছিল আক্রমণাত্মক। তাতে অতি সহজেই জয়ের বন্দরে নোঙর গড়ে তারা। শুরুতে পেসার মৃত্যুঞ্জয় সিলেটের কলিন আকারম্যানকে ১ রানে ফেরান। দ্বিতীয় উইকেটে জাকির ও শান্ত ৬২ রানের জুটি গড়েন। তাতে শুরুর ধাক্কা সামলে জবাব দেয় সিলেট। জাকির ২১ বলে ২৭ রান করে ফেরেন পুস্পকুমারার ঘূর্ণিতে। জয়ের বাকি কাজ সারেন শান্ত ও মুশফিক। ৪১ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪৩ রান করেন শান্ত। জয়সূচক রান নেওয়া মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ৬ রান।
পুঁজিতে বড় কোনো সংগ্রহ ছিল না। চট্টগ্রামের বোলিংও তেমন ভালো হয়নি। ১৩ রানই তারা দিয়েছে অতিরিক্ত। তাতে জয়টাও আরও সহজ হয়ে যায় মাশরাফির দলের জন্য। ২ পয়েন্ট নিয়ে এবারের লিগের যাত্রা শুভ করলো তারা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
এ এম জি ফেরদৌস
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
নাহিদুল ফাহিম
প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা
ইঞ্জি. মেহেদী হাসান |
প্রধান কার্যালয়
পূর্ব লিংক রোড, ঝিরংঝা, কক্সবাজার
মোবাইল
০১৮১৯-৫০২-৩২২
ই-মেইল beachnews24@gmail.com |
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: March 19, 2024, 10:16 am