কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিভিন্ন বিভাগে ১৮তম ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগ দিয়েছে ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
র্যাগিংয়ের শিকার কয়েকজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অবস্থায় এসব অভিযোগ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বেশ কিছু প্রমাণ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে অর্থনীতি বিভাগ, আইন বিভাগ, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, পরিসংখ্যান বিভাগসহ আরও কয়েকটি বিভাগে র্যাগিং চলছে। যদিও গত ২৪ অক্টোবর র্যাগিং ও মাদক নিয়ন্ত্রণে কুবি প্রক্টরিয়াল বডি চারটি নির্দেশনা জারি করেছিল।
অর্থনীতি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বাইরে নিয়ে গিয়ে র্যাগিং বা ম্যানার শেখায় না, ক্লাসরুমের ভেতরেই এসব শেখানো হয়। এমনও হয়েছে, আমাদের দুই দিন দুপুরের খাবার খেতে দেওয়া হয়নি। তারা আমাদের নিয়ম করে দিয়েছেন, সকাল ৯টায় ক্যাম্পাসে আসতে হবে এবং বিকেল ৫টায় চলে যেতে পারব। র্যাগিং সহ্য করতে না পেরে এমনও ঘটনা ঘটেছে, এক জুনিয়র সিনিয়রকে মারতে গেছে। বিভাগীয় প্রধানকে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনো দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ না নেওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী এখন অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছেন না।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের সামাজিক বনে নিয়ে গিয়ে র্যাগিং করা হয়। বিভাগের ভেতরের কথা বাদই দিলাম। র্যাগিংয়ের সময় প্রচণ্ড বাজেভাবে গালিগালাজ করা হয়। আমরা বিভাগের চেয়ারম্যানকে অভিযোগ দিয়েও কোনো ফল পাইনি। এরপর যদি আবার র্যাগিং হয়, সরাসরি প্রশাসনের সহযোগিতা নেব।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, র্যাগিং বিষয়টি আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। আমিও এর শিকার। এরপরও যদি কেউ র্যাগিং করে, তবে আমি সরাসরি প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেব।
আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমার পরিবার আমাকে শিখিয়েছে, কিভাবে মানুষের সাথে আচরণ করতে হয়। এখানে আমাদের ম্যানারের নামে র্যাগিং দেওয়া হচ্ছে। একদিন রাতে সিসিএন রোডের মাথায় এবং শালবনে নিয়ে গিয়ে র্যাগিং করেছে। সেখানে প্রচণ্ড গালিগালাজ করেছে। ক্লাসের মধ্যে এমনও হয়েছে, মেয়েদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কটূক্তি করেছে।
মার্কেটিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানায়, র্যাগিং এর ক্ষেত্রে মেয়েরাই বেশি অস্বস্তি অনুভব করে, ছেলেরা মোটামুটি মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, আমরাও কয়েকটি বিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি, যার মধ্যে নৃবিজ্ঞান বিভাগ, আইন বিভাগ, পরিসংখ্যান বিভাগসহ আরও কয়েকটি বিভাগ রয়েছে। তাদের সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও যদি র্যাগিংয়ের শিকার হন বা কোনো শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দেন, তবে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুবিতে সিনিয়রদের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিভিন্ন বিভাগে ১৮তম ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগ দিয়েছে ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
র্যাগিংয়ের শিকার কয়েকজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অবস্থায় এসব অভিযোগ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বেশ কিছু প্রমাণ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে অর্থনীতি বিভাগ, আইন বিভাগ, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, পরিসংখ্যান বিভাগসহ আরও কয়েকটি বিভাগে র্যাগিং চলছে। যদিও গত ২৪ অক্টোবর র্যাগিং ও মাদক নিয়ন্ত্রণে কুবি প্রক্টরিয়াল বডি চারটি নির্দেশনা জারি করেছিল।
অর্থনীতি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বাইরে নিয়ে গিয়ে র্যাগিং বা ম্যানার শেখায় না, ক্লাসরুমের ভেতরেই এসব শেখানো হয়। এমনও হয়েছে, আমাদের দুই দিন দুপুরের খাবার খেতে দেওয়া হয়নি। তারা আমাদের নিয়ম করে দিয়েছেন, সকাল ৯টায় ক্যাম্পাসে আসতে হবে এবং বিকেল ৫টায় চলে যেতে পারব। র্যাগিং সহ্য করতে না পেরে এমনও ঘটনা ঘটেছে, এক জুনিয়র সিনিয়রকে মারতে গেছে। বিভাগীয় প্রধানকে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনো দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ না নেওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী এখন অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছেন না।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের সামাজিক বনে নিয়ে গিয়ে র্যাগিং করা হয়। বিভাগের ভেতরের কথা বাদই দিলাম। র্যাগিংয়ের সময় প্রচণ্ড বাজেভাবে গালিগালাজ করা হয়। আমরা বিভাগের চেয়ারম্যানকে অভিযোগ দিয়েও কোনো ফল পাইনি। এরপর যদি আবার র্যাগিং হয়, সরাসরি প্রশাসনের সহযোগিতা নেব।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, র্যাগিং বিষয়টি আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। আমিও এর শিকার। এরপরও যদি কেউ র্যাগিং করে, তবে আমি সরাসরি প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেব।
আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমার পরিবার আমাকে শিখিয়েছে, কিভাবে মানুষের সাথে আচরণ করতে হয়। এখানে আমাদের ম্যানারের নামে র্যাগিং দেওয়া হচ্ছে। একদিন রাতে সিসিএন রোডের মাথায় এবং শালবনে নিয়ে গিয়ে র্যাগিং করেছে। সেখানে প্রচণ্ড গালিগালাজ করেছে। ক্লাসের মধ্যে এমনও হয়েছে, মেয়েদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কটূক্তি করেছে।
মার্কেটিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানায়, র্যাগিং এর ক্ষেত্রে মেয়েরাই বেশি অস্বস্তি অনুভব করে, ছেলেরা মোটামুটি মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, আমরাও কয়েকটি বিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি, যার মধ্যে নৃবিজ্ঞান বিভাগ, আইন বিভাগ, পরিসংখ্যান বিভাগসহ আরও কয়েকটি বিভাগ রয়েছে। তাদের সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও যদি র্যাগিংয়ের শিকার হন বা কোনো শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দেন, তবে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক
এ এম জি ফেরদৌস
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
নাহিদুল ফাহিম
প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা
ইঞ্জি. মেহেদী হাসান |
প্রধান কার্যালয়
পূর্ব লিংক রোড, ঝিরংঝা, কক্সবাজার
মোবাইল: ০১৮১৯-৫০২-৩২২
ই-মেইল beachnews247@gmail.com |
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: December 11, 2024, 7:02 pm