করোনা বিরতি কাটিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে ১২তম জাতীয় আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। তীব্র বাতাসে ভালো করতে এবারের ভেন্যু করা হয়েছে কক্সবাজারের শেখ কামাল আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রেকটিস ভ্যানু।
১ মার্চ থেকে প্রতিযোগিতার মূল পর্ব শুরু হলেও ২ মার্চ হবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। আর উদ্বোধন করবেন সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। ৪ মার্চ পর্যন্ত ৪০টি ক্লাবের অংশগ্রহণে হবে এবারের চ্যাম্পিয়নশীপ। যার পৃষ্ঠপোষক সিটি গ্রুপ।
বাংলাদেশে ভালো করা আর্চাররা, দেশের বাইরে গেলেই পালটে যায় ফলাফল। পারফরম্যান্স খারাপ করেন আর্চাররা বিষয়টি এমন নয়। বাতাসের তারতম্যের জন্যে লক্ষ্যে নিশানাবাজী করতে পারেন না তীরন্দাজরা। সেই আক্ষেপ ঘোচাতে এবার সমুদ্রতীরবর্তী কক্সবাজারে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আর্চারী ফেডারেশন। ৬০ টি পদকের জন্য যেখানে লড়বেন ১৪৮ জন আর্চার। যেখানে রিকার্ভ ও কমপাউন্ড দুটি ইভেন্টে হবে খেলা।
বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল বলেন, বাতাসকে কে জয় করতে পারে সেটাই এবার দেখা যাবে। একই সাথে ভিন্ন পরিবেশে নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করার জন্য এবারের কক্সবাজারে আর্চারী চ্যাম্পিয়নশীপের আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি জানান, আর্চারীর জন্য একটি নতুন মাঠ পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ফেডারেশন। খেলোয়াড়দের জন্য সামনে হাতছানি দিচ্ছে অলিম্পিকে খেলার সুযোগ। তার আগে এই টুর্নামেন্টগুলো দিয়ে নিজেকে গড়ে তোলার লড়াই। সামনে বাংলাদেশ অংশ নিবে আর্চারির ২টি বিশ্বকাপে। টোকিও অলিম্পিকেও রয়েছে বাতাসের বৈপরীত্য। ২০২৪ অলিম্পিকেও খেলতে চায় বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে ফেডারেশন।