ভারত নিয়ন্ত্রীত জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলের কেড়ে নেয়া পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা সঠিক সময়ে ফিরিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কাশ্মীর নিয়ে দেশটির সংসদে করা এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শনিবার জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল বিষয়ে কংগ্রেস দলীয় সংসদ সদস্য অধীর চৌধুরী ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের পর কেন্দ্রীয় সরকার যেসব প্রতিজ্ঞা করেছিল, সেগুলোর কী খবর?
জবাবে অমিত শাহ বলেন, বিরোধীরা প্রশ্ন করছেন, ২০১৯ সাল থেকে আমরা জম্মু ও কাশ্মীরে কী করেছি? (৩৭০ ধারা) রদের পর ১৭ মাস কেটেছে, তার উত্তর চাইছেন। কিন্তু আপনারা ৭০ বছরে কী করেছেন, তা কখনও বিচার করে দেখেছেন?
বিরোধীদের আক্রমণ করে এ বিজেপি নেতা বলেন, আপনারা ঠিকভাবে কাজ করলে আমাদের কাছে প্রশ্ন করতে হতো না।
কাজের হিসাব দিতে আপত্তি নেই জানিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে শাসনের সুযোগ পেয়েছেন, তাদের খতিয়ে দেখা উচিত- আদৌও তারা সেই উত্তর চাওয়ার যোগ্য কি না।
ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষের একাধিক সদস্য দাবি করেছেন, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল পাস হলে জম্মু-কাশ্মীর আর পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে না। তবে অমিত শাহ দাবি করেছেন, এই বিলের সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, বিলের দায়িত্বে রয়েছি আমি। আমিই বিল এনেছি। এতে কোথাও লেখা নেই, জম্মু ও কাশ্মীর আর রাজ্যের মর্যাদা পাবে না।
অমিত শাহ বলেন, রাজ্য হিসেবে জম্মু-কাশ্মীরের মর্যাদার সঙ্গে এই বিলের কোনও সম্পর্ক নেই। সময় হলেই তাদের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে বিজেপি সরকার। এসময় জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। এরপর থেকেই স্থানীয়দের পাশাপাশি অঞ্চলটির রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে ভারতের বিরোধী দলসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলো।