আল্লাহপাক মুসা (আঃ) এর সাথে প্রায় সময় কথা বলতেন, একদা মুসা (আঃ) আল্লাহপাক কে প্রশ্ন করলেন- হে আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন আপনি খুশী হলে কি করেন? আল্লাহপাক উত্তর দিলেন খুশী হলে আমি বৃষ্টি বর্ষণ করি। মুসা (আঃ) আবার প্রশ্ন করলেন আরো খুশী হলে কি করেন? আল্লাহপাক উত্তর দিলেন খুলী হলে আমি কন্যা সন্তান দান করি। পুনরায় মুসা (আঃ) একই প্রশ্ন করলেন, আল্লাহ্ পাক উত্তরে বললেন আমি খুশী হলে মেহমান পাঠাই।
সম্মানীত পাঠক রোহিঙ্গারা আমাদের মেহমান, আল্লাহপাক আমাদের উপর খুশী হয়ে পাঠিয়েছেন। সুতরাং যত পারুন মেহমানদারী করুন।
এবার আসুন বিপরীতে চিন্তা করি।
(এক) আল্লাহ্পাক তখনি কোন জাতি বা কওমের উপর গজব নাজিল করেন, যখন ঐ জাতি আল্লাহপাক নারাজ হওয়ারমত কোন কর্মে লিপ্ত হয়। সুতরাং রোহিঙ্গারা অভিশপ্ত জাতি। তাদের কর্মে আল্লাহপাক নারাজ হয়ে তাদের কে ভিটে মাটিচ্যুৎ করে দেশান্তরিত করেছেন।
(দুই) রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থল হচ্ছে – উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা। এ দুই উপজেলার বর্তমান চিত্র একটু গভীর ভাবে ভাবলেই গা শিওরে ওঠে। দু‘ উপজেলার মানুষের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে পুরো এলাকা।
(তিন) স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ীদের আয় বেড়েছে সত্যি কিন্তু কৃষক মজুরদের কোন আয় বাড়েনি।
ক্যাম্পে স্থানীয়দের কোন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছেনা। সুতরাং নিজ প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদীর মূল্য এবং সংকট চরম পর্যায়ে পৌছেছে।
(চার) দু’ উপজেলার সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান প্রশাসন ও এন.জি.ওদের দখলে। সেচ্ছাসেবীদের ক্যাম্প করা হয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল করে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, ছাত্র/ছাত্রীদের ভবিষ্যতের অবস্থা কি? কে নেবে এর দায়ভার? সামনে ফাইনাল পরীক্ষা, কি ভাবে অনুষ্টিত হবে এদের পরীক্ষা?
দ্রুত এগিয়ে আসতে হবে সরকার কে, লোকালয় থেকে দ্রুত রোহিঙ্গাদেরকে পূনর্বাসন করতে হবে। নইলে ভয়াবহ বিপর্যয় হবে দু’ উপজেলায় ।
